জামিয়া পরিচিতি

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া ইমামবাড়ী একটি ঐতিহ্যবাহী জাতীয় ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিগত কয়েক দশক যাবত অত্র অঞ্চলে পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহের বিধান অনুযায়ী দ্বীনি শিক্ষা প্রদান করে আসছে। ১৯৪৪ ইংরেজি সনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর হইতে আল্লাহ তাআলার অসীম দয়ায় হক্কানী বিশিষ্ট ওলামা ও মাশায়েখগনের সুপরামর্শ ও দেশবাসীর উদার সাহায্যে পরিচালিত হয়ে আসছে। ইসলামী শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে অত্র প্রতিষ্ঠানটি দেশেবিদেশে বিশেষভাবে সুপরিচিত। বর্তমানে ৩৫ জন সুদক্ষ শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ বোর্ডের সিলেবাস অনুসারে পর্যায়ক্রমে চারটি ভাষা : যথা আরবি, বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু এর মাধ্যমে, হেফজ কোরআন মাজিদ ও কেরাত বিভাগসহ শিক্ষার নিম্নতম ক্লাস হইতে মেশকাত জামাত পর্যন্ত সুচারুরূপে চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে আটশতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অধ্যায়নরত আছে। এই আদর্শ জামেয়া প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর হইতে অদ্যাবধি বহু জ্ঞানপিপাসু নিজ নিজ যোগ্যতা অনুসারে জ্ঞান অর্জন করে দেশে-বিদেশে সাফল্যের সঙ্গে জাতীয় উন্নতির লক্ষ্যে দ্বীনি শিক্ষা ও ইসলামের বহুবিধ খেদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন। জামিয়া পুরুষদের শিক্ষার পাশাপাশি মহিলাদেরকে ধর্মীয় উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে ২ একর জমির উপর ভিট স্থাপন করত পৃথক মাদরাসাতুল বানাত এর কাজ চালু করেছে। বর্তমানে ৪০০ জন ছাত্রী অধ্যায়নরত আছে। জামিয়া বর্তমানে মাদরাসাতুল বানাত সহ চার একর জায়গার উপর স্থাপিত। দাওরায়ে হাদিস চালু: ১৯৭৪ সনে শায়খে ইমামবাড়ী আল্লামা আব্দুল মুমিন রাহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রথম হাদিসের দরস চালু করেন। বালিকা শাখা চালু: ১৯৯৭ ইংরেজি সনে আল্লামা আব্দুল মুমিন রাহ. চালু করেন।আল্লাহতালা এই জামিয়াকে দিন দিন উন্নতি দান করুন। আর মাদ্রাসায় সাহায্যকারীদের দান কে কবুল করূন। আমীন।